- You cannot add "আজব প্রাণীর গল্প" to the cart because the product is out of stock.
মেয়েমানুষ
50.00৳
পৃষ্ঠাঃ ৬২, হলুদ
প্রকাশকালঃ প্রথম প্রকাশ, ১৯৮৮
কন্ডিশনঃ এভারেজ
1 in stock
রহমতমালী দুপুরবেলা বাগানে, গাছপালার ছায়ায় বসে নেশাখোরের মতো ঝিমোয়। লোকটার নেশাভাঙের অভ্যেস আছে। কিন্তু সেটা শুধু, সন্ধেবেল।। সারাদিনের বিষয়কর্ম’ সেরে সন্ধেবেলা রহমত বসে তার কু’ড়েঘরের সামনে। দাওয়ায়। এই বাড়িটা বিশাল। পুরনোকালের জমিদারদের বাড়ি। কালে কালে বাড়িটা হস্তান্তর হয়েছে শহরের এক বড়ো ব্যবসায়ীর হাতে। বছরের একটা সময়, শীতের শুরুতে সপরি-বারে তিনি এখানে বেড়াতে আসেন। দু’চারদিন থেকে আবার ফিরে যান শহরে। সেই সময়টা বড়ো আনন্দে কাটে রহমতনালীর, বড়ো আনন্দে কাটে রহমতের যুবতী মেয়ে পরীর। বিক্রি-বাটা করে পুকুরের মাছ তখন যা থাকে সব জেলে ডাকিয়ে ধরা হয়। বাগানে ফল পাকুড় যা থাকে পাড়া হয়। রান্নাবান্না, হৈ হুল্লোরে বিশাল নির্জন বাড়িটা জেগে ওঠে। বাকি সারাটা বছর বিশাল দরদালান নিয়ে, বিশাল বাগানটা নিয়ে বাড়িটা পড়ে থাকে মৃতের মতো। দরদালানের পাশে রহমতমাসীর ছোট কু’ড়ে। সেখানে বাপবেটির সংসার। দুটি মানুষের বেচে বর্তে থাকা, তাদের গৃহকর্ম’, কথোপকোথনের শব্দ-বিশাল বাড়ি-টির থমথমে নির্জনতায় কিংবা বাগানের গাছপালায় পাখপাখালির ডাকে, হাওয়ার শব্দে টের পাওয়া যায় না। মানুষ দুটোও তখন নিজ’-নতার অংশ।
এবারের শীতকাল শেষ হয়েছে বেশ কিছুদিন। মালিক আগেই রহমতকে জানিয়েছিলেন এবার তিনি বেড়াতে আসবেন না। জেনে
রহমত খুব দুঃখ পেয়েছিলো, পরী খুব দুঃখ পেয়েছিলো। দুটি মানুষ সারা বছর বুক বেধে অপেক্ষা করে শীতকাল কবে আসবে, কবে বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে মালিক আসবেন বেড়াতে। কবে মৃত বাড়িটা প্রাণ পাবে। কারণ মানুষ দুটোর সারা বছরের একঘেয়ে জীবনে ওই কটা দিনই কাটে সুখে আনন্দে। মালিক নিজে খুব আমুদে লোক, ছেলেমেয়ে গুলোও আমুদে। শুধু, বউটা একটু গম্ভীর ধরনের। এখানে এসেই একাকী তিনি বাগানে হে’টে বেড়ান। খাঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন বাগানের প্রতিটি গাছপালা। আগাছা দেখলে রেগে যান, কোনো……
Reviews
There are no reviews yet.